Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ পুরস্কারে ভূষিত শেখ হাসিনা


২৭ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:০৬

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল ইউমেন লিডারশিপ পুরস্কার গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা গ্লোবাল সামিট ফর উইমেন এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার দিলো।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সিডনির আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অংশীদারিত্বের মূল্যবোধে যারা অর্থনীতিকে গড়ে তুলেছেন সেইসব নারী নেতৃত্বতের শীর্ষ সম্মেলন চলছিলো। সে অনুষ্ঠানেই শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা।

স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় শেখ হাসিনার হাতে।

ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট থি নাও থিনয় ও কসোভোর সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যাতিফেত জাহজাগাও পেয়েছেন এই গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮।

পুরস্কার গ্রহণের পর দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনে এগিয়ে চলার সংগ্রাম, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে চলার সংগ্রাম, নারীর ভাগ্য উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীর জন্য একটি নিরপেক্ষ অধিকারভিত্তিক উপযোগী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আমরা নারীদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছি, মেয়েদের স্কুলে কলেজে পাঠাতে বাবা-মাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে তৃণমূলে নারী নেতৃত্ব সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারই ফল হিসেবে নারীরা আজ রাজনীতিতে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

তবে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিকে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের উক্তি স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বাবা বলতেন একজন নারী যখন আয় করবেন ততই তিনি শক্তিশালী হবেন এবং সংসারে যে কোনও সিদ্ধান্তে তার গুরুত্ব বাড়বে।

ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে এগিয়ে চলার গল্পও শোনান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ৭৫’র ১৫ আগষ্ট বাবা-মা ও ভাইদেরসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়ে দুই বোন শরণার্থীর জীবন যাপন করেছেন। পরে তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি দীর্ঘ সময়। আর যখন দেশে ফিরেছেন তখনও সহ্য করতে হয়েছে নানা অন্যায়, অবিচার। হত্যাকারীরাই তখন ক্ষমতায় ছিলো তবে কোনও অবস্থাতেই তিনি সাহস হারান নি, বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, তাকে হত্যা করার জন্যও ছিলো নানা চেষ্টা। তবে দেশের সাধারণ মানুষই তাকে বাঁচিয়েছে, তাকে রক্ষা করেছে।

এর আগে ২৬ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গ্লোবাল সামিট ফর উইমেন-এর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

সফরকালে তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, কৃষি, নিরাপত্তা শিক্ষা ও ক্রীড়া বিষয়ে অস্ট্রালিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। শনিবার (২৮ এপ্রিল) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী তিনদিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে (২৭ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পৌছান।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী, আ’লীগ ব্যস্ত আয়োজনে বিএনপি প্রতিবাদে

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার

সারবাংলা/এনআর/এমএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর