ঢাকা: ক্ষমতাচুত আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে থেকে দলের নেতাকর্মীদের শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে উত্তরার সানভীম স্কুল মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন এবং প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ পরামর্শ দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এই ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যা করেছে আমরা এসব কিছুই করব না। আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় কেউ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এটি চাই না। আমরা নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম, যাতে সবাই তার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই কথা বলেছেন যে, মানুষকে শাসিয়ে বা তাদের অধিকার হরণ করে ভোট পাওয়া যাবে না; বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইতে হবে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লন্ডন বৈঠকের বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলেছিলাম, আর ইউনূস সাহেব বলেছিলেন এপ্রিলে। এখানে এক প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু তারেক রহমানের বিচক্ষণতা দেখেন, তিনি দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন, যাতে কোনো বিপদ না আসে। এমন বিচক্ষণ নেতা খুব কমই আছে। তাই তারেক রহমান ও ড. ইউনূসকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’’
ঐকমত্য কমিশনে জামায়াতের অনুপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘‘এত কিছুর পরও অনেকের মন ভালো নেই, যে কারণে গতকাল তারা আসে নি।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমাদের বয়স হয়েছে। যে কারণে বক্তব্য শুরু করতে আমার সময় লেগেছে। তার মানে আমাদের বয়স হওয়ায় কর্মক্ষমতা কমে গেছে। তাই আমাদের জায়গায় তরুণদের আসতে হবে, তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে হবে।’’
কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আজকে যে সদস্য নবায়ন করা হচ্ছে সেখানে যেন কোনো আওয়ামী লীগ না থাকে। কারণ এটা পরীক্ষিত, আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না। আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কারও স্বার্থ দেখতে পারে না। তাই তাদের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে তাকে অবশ্যই দলে আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে।’’