Thursday 19 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাঁদাবাজির সঙ্গে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই: বৈছাআ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২৫ ১৫:২৯ | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ১৯:৩১

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে ব্যবসায়ীকে টর্চার সেলে মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদমান সানজিদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সাদমান সানজিদ বলেন, দেশ টিভি সহ কয়েকটি গণমাধ্যমে মিরপুর কেন্দ্রিক কিছু ঘটনা নিয়ে যে ধরনের বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে ব্যক্তির সম্মানহানি, সামাজিক বিভ্রাপ্তি এবং জনমনে ভুল বার্তা প্রেরণের অপচেষ্টা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শাহআলীর থানার সদস্য সচিব পারভেজের নানা মো: আমজাদ ও গোলাম মোস্তফা, আমিরুল নামক এক আওয়ামী ঠিকাদারের কাছ থেকে সাব টেন্ডার নিয়ে রাজবাড়ীর একটি রাস্তার কাজ করে ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে। সেই কাজের প্রায় ২ কোটি টাকা পারভেজের নানা আমিরুলের কাছে পেতো, গত ২ বছর সে আওয়ামী প্রভাব দেখিয়ে টাকা পরিশোধ করছিল না। ফলে পারভেজের নানা আমজাদ হয়রানীর স্বীকার হয়ে আসছিলেন। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পারভেজ আমাদের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চায়, যেটা বৈষম্যবিরোধীর কোনো ব্যানারে না, নিজেদের ব্যাক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে আমরা এ ব্যাপারে সমাধানের জন্য দুই পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসি। পরে জানতে পারি আমিরুল পল্লবী থানা বৈবিছার আহ্বায়ক জামিল তাজ দূরসম্পর্কের আত্মীয়। বিষয়টা আমাদেরই ২ সহযোদ্ধার পারিবারিক ইস্যু হয়ে যাওয়ায় আমরা তাদের নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নিতে বলি। পরে চেক এবং একটি স্ট্যাম্প সই করে পাওনাদার আমজাদকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু সেই টাকা আর পরিশোধ করেননি আমিরুল।

তিনি বলেন, এরপর আমিরুলের ওহ্যাটসঅ্যাপে আমিরুলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নিয়মিত তথ্য আদান প্রদান এবং নাহিদ, হাসনাত ও সার্জিস সহ অনেককে নিয়ে গুজব রটানোর তথ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে শাহআলী থানার আহবায়ক রফিক মিঠু তাকে আঘাত করে। তখন আমরা সবাই মিঠুকে শান্ত করি। এসময় বৈবিছার পল্লবী থানার যুগ্ম আহবায়ক জামিল তাজ উপস্থিত হয়ে আমিরুলকে নানা হিসেবে দাবি করে এবং আমিরুল তখন তাজকে বলে যে তাকে মারধর করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তাজের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয় এবং ভিডিওটি করেন তাজ। তখন আমরা আলোচনা করে এর সমাধান করি এবং তাজের নানার কাছে ক্ষমা চায় মিঠু।

তিনি আরো বলেন, তাজের করা সেই ভিডিওটি দেশ টিভি পুজি করে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাজ এই রিপোর্টের প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো ঘটনার স্ট্যাটমেন্টও দিয়েছে। এই ইস্যুকে দেশ টিভির রিপোর্টে বানিয়ে দিয়েছে চাঁদাবাজি ইস্যু। অথচ ঘটনাটা ছিলো সম্পূর্ণ পারিবারিক।

বৈছাআ এর এই নেতা বলেন, প্রতিবেদনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালকের সাথে আমাদের সাক্ষতে তদবির সংক্রান্ত ব্যাপারে ভয় ভীতি প্রদর্শন, নাহিদের ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে ফায়দা নেওয়া এই মর্মে যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। আমরা ডিজি মহোদয়ের সাথে কখনোই দেখা করিনি, তাকে চিনিওনা। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমাদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বাস্তবতা হলো, আমাদের আগের মতই সাধারণ জীবনযাপন অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে আমরা স্বচ্ছতা প্রমাণ করেছি।

তিনি দাবি করে বলেন, আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি যে আমরা কেউই ‘ত্রাস’ সৃষ্টি করছি না। বরং মিডিয়া ইয়োলের শিকার হয়ে সম্মানহানির শিকার হচ্ছি।

সারাবাংলা/এমএইচ/এমপি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর