ঢাকা: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ ও এ কে এম নুরুল হুদাসহসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলার আবেদন করেছে বিএনপি।
রোববার (২২ জুন) সকাল সোয়া ১১টার দিকে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষ থেকে মামলার কপি ওসি ইমাউল হকের হাতে তুলে দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান। এ সময় তার সঙ্গে আরও তিন জন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আবেদনে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনা, ২০১৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনরত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার আবু হানিফ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসর) জাবেদ আলী, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ, সাবেক স্বরষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার।
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.কে.এম. নুরুল হুদা, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন। এছাড়াও জাবেদ পাটোয়ারী (তৎকালীন পুলিশের সাবেক আইজিপি), আসামী বেনজির আহমেদ (তৎকালীন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সাবেক বিজি র্যাব ও সাবেক আইজিপি), সাবেক আইজিপি এ.কে.এম শহীদুল হক, সাবেক এসবি প্রধান আসামি মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান নাম অজ্ঞাত, সাবেক এনএসআই প্রধান অজ্ঞাত এবং সাবেক ঢাকা রেঞ্চের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলমসহ অজ্ঞাত আসামীরা।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন খান বলেন, পতিত সরকারের সময়ে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণার সাথে সাথে সারা দেশে বিএনপি সহ বিভিন্ন দল ও কোটি কোটি জনগণ ঐ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ও নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করে। সারা দেশে মিথ্যা গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীদের কিছু অতি উৎসাহী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের দ্বারা গ্রেফতার শুরু করে। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দ্বারা সারা দেশে পাড়া মহল্লায় গ্রামে গঞ্জে শহরে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ওপর নির্যাতন শুরু করে এতে অনেক কর্মী নিহত হয় ও গুরুতর আহত হয়। এমনকি অন্যান্য নির্বাচনেও তারা একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ওপর প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে।
তিনি বলেন, উল্লেখিত তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনাররাসহ নির্বাচন কমিশনাররা সংবিধান লঙ্ঘন করে ও নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে যোগসাজশ করে অবৈধভাবে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসায়। উল্লেখিত আসামিরা যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ ও নির্বাচন আচরনবিধি লঙ্ঘন।
মামলার আবেদনের বিষয়ে ওসি ইমাউল হক বলেন, ‘১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদনে করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা তদন্ত করে পরবর্তী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’