Wednesday 25 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জুলুম-নির্যাতনে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন মুছে ফেলেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ জুন ২০২৫ ১৬:১১ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ১৭:৫১

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা: জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নকে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মুছে ফেলেছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৫ জুন) নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে দেশে দেশে মানুষ অত্যাচারী শাসক, বর্বর একনায়ক এবং একদলীয় শাসকের দ্বারা দমন-পীড়নের শিকার হয়ে আসছে। বিশ্ব জুড়ে রক্তপিপাসু স্বৈরশাসকরা বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানব মুক্তি ও প্রগতির আদর্শকে ভয়ানক নিষ্ঠুরতায় ভুলুন্ঠিত করেছে। আজও দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ভাষা, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায় নিয়ে চলছে হিংসা ও সংঘাতের রক্তক্ষরণ। বেআইনী ক্ষমতাবানরা অনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য সমাজে চালাচ্ছে রক্তারক্তি ও হানাহানি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের অমানবিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মানুষ নানাভাবে দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছে। বিশ্ব যান্ত্রিক সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও মানবিক সভ্যতা বেশিদূর এগুতে পারেনি। গত বছর জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট সরকারের বীভৎস দমন নীতির কারণে অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেছে এবং হাজার হাজার ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ববরণ করেছে। বিগত নিষ্ঠুর ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের উৎপীড়নের বিকট রূপ দেখে সারাবিশ্ব হতভম্ব হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এছাড়াও ১৬ বছর ধরে তাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে গুম, কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা, শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যুর শিকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। ফ্যাসিষ্ট সরকারের জনগণের নিকট কোনো জবাবদিহিতা ছিল না, সকল প্রতিষ্ঠানকে হাতের মুঠোয় নিয়ে একদলীয় দুঃশাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের বুকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমকে হুমকি, ভয় ও নির্যাতন চালিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নির্মমভাবে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। আর বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে বেপরোয়া জুলুম-নির্যাতন। সারাদেশের মানুষ যেন ভয়াবহ নৈরাজ্যের অন্ধকারে বাস করেছে।’

তিনি বলেন, ‘জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নকে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মুছে ফেলেছিল। ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অসত্য বানোয়াট মামলায় আক্রোশমূলকভাবে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাকে নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করা হয়। কারাবন্দি অসুস্থ দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসা না দিয়ে তার জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের এ ধরনের দৃষ্টান্ত সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের প্রতিকার প্রাপ্তি এবং ন্যায্য ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের একটি ন্যায়সংগত অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। আমি গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনগণকে যুথবদ্ধভাবে সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ, নির্যাতিতদের সমর্থনে প্রতি বছর ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক এই দিবসটি পালিত হয়। এই দিবসটিতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতি জানানো হয়।

সারাবাংলা/এজেড/এমপি

বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর