ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার সব সময় সুশীল আচারণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। উপদেষ্টার পরিষদে আওয়ামী প্রেতাত্মা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদ খাঁন বলেন, মব সৃষ্টি হওয়ায় নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। মব সৃষ্টি না হলে কি নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করতো? না করতো না। তার প্রমাণ রকিব উদ্দীন ও হাবিবুল আউয়াল। এখনো পর্যন্ত তাদের দুজনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশকে কোনো তাগাদা দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, মবের বিষয়ে আমি সবসময় বিপক্ষে মতামত দিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের পরে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মব কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না।
কিন্তু সরকার কি নিজ থেকে আওয়ামী অপরাধীদের গ্রেফতার করছে? সরকার সব সময় সুশীল ভূমিকা রাখছে। এর অন্যতম কারণ উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যেই রয়েছে আওয়ামী প্রেতাত্মা। তারা কখনোই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী না।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, এর পিছনে তাদের কোনো সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, সেটি নিয়ে সন্দেহ লাগে।
কেন তারা শেখ পরিবারের কাউকে ধরলো না? কেন আওয়ামী লীগের ডামি এমপি, মন্ত্রীদের ধরছে না? কেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করছে না? কেন ১৪, ১৮, ২৪ এর নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত কমিশনার, ডিসি, এসপিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না?
তিনি বলেন, ‘সরকারের দুর্বলতার কারণেই মব সৃষ্টি হচ্ছে। এই মবের দায় সম্পূর্ণ সরকারের। সরকার যদি নিজ থেকে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতো, তবে দেশটাতে এই বিশৃঙ্খলা দেখতে হতো না। আর সেকারণেই জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবেই নুরুল হুদার ওপর মব তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সরকার যদি নুরুল হুদাকে সময়মত ধরতো, তবে কি সেই মব তৈরি হতো? তাহলে মব উৎপাদন কে করছে? সরকার পরিকল্পিতভাবেই এই মব উৎপাদন করছে।