ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ৫৩ বছরে প্রমাণ হয়েছে বিদ্যমান ব্যবস্থায় দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। এই জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার আমুল সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারের দাবিতে আজকে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘আজ আমরা এখানেই সব দায়িত্ব শেষ করে দেব না। এই সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ব এবং সাধারণ মানুষকে সংস্কার, বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের গুরুত্ব বোঝাব। আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। আমাদের দাবি আদায়ে আমরা অনড় থাকবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মাসউদ বলেন, ‘এদেশে গত ৩০/৩৫ বছর ধরে নারীদের শাসন চলেছে। কিন্তু, নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ বন্ধ হয়নি। প্রতিনিয়ত নারীরা ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই, নারী ভোটারদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাব, একবারের জন্য হলেও আপনারা ইসলামী আন্দোলনকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দিন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না, ধর্ষণের শিকার হবে না।’
হিন্দু মহাজোটের গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
হিন্দু মহাজোটের গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘এদেশে বিদ্যমান ব্যবস্থায় ভোট হলে ৫০ শতাংশ ভোট পেলে একদল ক্ষমতায় যায় আর ৪৯ শতাংশ ভোট পাওয়া দলের কোনো মূল্য থাকে না। তাই আমরা পিআর পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির ভোট চাই। আর এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আমরা তার নেতৃত্বে এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাব।’
বৌদ্ধ বিহারের বধিজ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রের দয়াল কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন যে ভোট পেয়েছিল, তাতে তাদের অবস্থান ছিল চতুর্থ। কিন্তু, বিদ্যমান পদ্ধতিতে তাদের কোনো মূল্যই ছিল না। আমরা যারা বৌদ্ধ আছি, তাদের ভোট ৭ লাখের মতো। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে আমরা ৭টি আসন পাই। কিন্তু, সেটা কখনোই হবে না যদি না পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ব্যবস্থা হয়।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সভাতিত্বে মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন।