রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, সাবেক সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা স্লোগান দেন— ‘সিন্ডিকেট না রাকসু? রাকসু রাকসু’, ‘রাকসু নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘এক দফা এক দাবি, ১৫ তারিখে রাকসু দিবি’, ‘আপোষ না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘রাকসু আমার অধিকার, না দিলে তুই স্বৈরাচার’।
এজিএস পদপ্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, “কোনো অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে রাকসু নির্বাচন পেছানো যায় না। তিন দিন আগে মনোনয়ন তোলার তারিখ পিছানো হয়েছিল, আজও আবার তা করা হলো। তাহলে প্রশ্ন হলো— কোন কারণে, কাদের পুনর্বাসনের জন্য অথবা কোন দলকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই তারিখ পিছানো হচ্ছে? এর সঠিক জবাব না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে সরব না।”
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আজকে মনোনয়নের শেষ দিন ছিল, কিন্তু এই সিডিউল বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগে যে তফসিল দেওয়া হয়েছিল সেটা ইতোমধ্যে দুইবার পরিবর্তন হয়েছে। এভাবে তারিখ পরিবর্তন হতে থাকলে ১৫ তারিখে নির্বাচন হবে কিনা, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। যদি তারিখ বাড়ানো দরকার থাকতো, তাহলে আগে থেকেই জানানো উচিত ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করে কোনো দল বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ৫–৬ দিন সময় বাড়ানো হলো। এটা একেবারেই অযৌক্তিক। আমরা স্পষ্ট জবাব চাই।”
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আবাসিক হলের পরিবর্তে ভোটকেন্দ্র হিসেবে অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। ডোপ টেস্ট নিয়েও কিছু সমস্যায় পড়েছি, যা সময়সাপেক্ষ। আজ সারাদিন আমাদের মিটিং হয়েছে, আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল মিটিং করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”