ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার দেশের সিভিল সোসাইটির ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি ১/১১-পরবর্তী সময়ে বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে গ্রেফতার, রিমান্ডে নেওয়া এবং গুরুতর নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন।
রোববার (৩১ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সেই সময় তারেক রহমানকে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাকে নির্যাতন করে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না। অথচ দেশের সিভিল সোসাইটির শীর্ষ ব্যক্তিরা তখন প্রতিবাদ না করে উল্টো মন্তব্য করেছিলেন যে, তাদের মনে কোনো সহানুভূতি জাগে না।’
সরোয়ার তুষার অভিযোগ করেছেন, ‘তখন তারেক জিয়ার কোনো মানবাধিকার ছিল না। নির্যাতন করে তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, এবং সেটি স্বীকৃত সায়েন্স বলে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। সেই সিভিল সোসাইটিই এখন বিএনপিপ্রেমী সেজেছে, কিন্তু তারা আগের মতোই প্রগতিশীলতার আড়ালে নিজেদের মতাদর্শিক এজেন্ডা চাপাতে চায়। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তারা বিএনপির কাঁধে সেই ঝাণ্ডা তুলে দিতে চাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির ভূমিকা পর্যালোচনা না করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী ইতিহাস বোঝা সম্ভব নয়। ইতিহাস পুনরাবৃত্তি ঘটছে—তখন তারেক রহমানকে চরিত্রহনন করা হয়েছিল, আর এখন ছাত্রনেতা ও তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের বৈধতা হ্রাস করা হচ্ছে। নির্যাতন চালানো হলে তারা নিশ্চুপ থাকবে।’
সরোয়ার তুষারের মতে, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-অভিযুক্তকে আদালত প্রাঙ্গণে সামান্য ঘটনার সময়ই এই মহল মানবাধিকারের স্লোগান তোলে, অথচ বিরোধীদলের ওপর মারাত্মক নির্যাতনের সময় তারা নীরব থাকে।’