চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আয়োজনে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ কেন্দ্রে শুধু দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা দুই নির্বাচন কমিশনারের তত্বাবধানের তাদের পছন্দের প্রতিনিধি মনোনয়নে ভোট দিচ্ছেন।
তবে ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আয়েশা আক্তার। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ব্রেইল ব্যালটের ব্যবস্থা করেছিল। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ থেকে ৬২ জন শিক্ষার্থী থাকার পরও তারা আমাদের জন্য ব্রেইল ব্যালটের ব্যবস্থা করেনি। তারা আমাদের আশা দিয়েছিল যে, তারা এটা করবে। শেষমুহুর্তে তারা আমাদের জানিয়েছে, তারা এটার ব্যবস্থা করতে পারছে না। তারা আমাদের জন্য শ্রুতিলেখকের মতো কাউকে দেবে, আমরা বলবো সে লিখে দেবে।’
‘কিন্তু এটাতে আমি এখন নিরাপদ বোধ করছি না। কারণ আমি একরকম বলবো, সে আরেকরকম লিখতে পারে। এটা আমার প্রথম অভিযোগ। দ্বিতীয় অভিযোগ হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে ভোট দিচ্ছে। আর আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যারা আছি, তারা আমাদের জন্য সকাল ১১টা থেকে ভোটের ব্যবস্থা করেছে। এটা আমাদের প্রশাসন আগে জানায়নি, যার কারণে আমরা সকাল ৯টা থেকে এসে বসে আছি। এতে আমাদের সহযোগী যারা আছেন, তাদেরও কষ্ট হচ্ছে, আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে। এতবড় বৈষম্য আমরা মানতে পারছি না।’
দৃষ্টিহীন আরেক ছাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল ৯টা থেকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারলেও আমরা ঢুকতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা উদাসীন হলে আমাদের বিষয়টা তারা এভাবে ইগনোর করে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এদেশে একটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম এরপর থেকে দেশে আর বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু আজ চবি প্রশাসন প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে বড় বৈষম্যটা করেছে।’