Thursday 23 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয় নির্বাচনের দিনেই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হতে পারে: সালাহউদ্দিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫৭ | আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৪

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে “চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান” শীর্ষক সেমিনার

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, গতকাল একটি দল বলেছে— আমরা নাকি চাপে পড়ে জুলাই সনদে গণভোটের প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। আমরা বলেছি, জাতীয় নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে “চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

বিজ্ঞাপন

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখন একটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে সই করার সুযোগ খুঁজছে, তবে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া রয়েছে। আমরা আশা করছি সুন্দর সমাধান হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আদেশ জারি ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি কাঠামো দিতে পারেন। সবকিছু হতে হবে বাস্তবতার নিরিখে এবং আইন দিয়ে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ বাতিলের দাবি তুলতে না পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে পরিবর্তন আশা করছি তা সর্বত্রই হতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন শুধু বৈষম্যমূলক চাকরি ব্যবস্থা বা কর্মসংস্থানের জন্য নয়; সেটি ছিল দীর্ঘ ১৫-১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। যে কারণে একদফার ভিত্তিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন দ্রুত তীব্র হয় এবং বহু লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যত সংস্কারই আমরা করি না কেন, মানসিক সংস্কার আগে করতে হবে। না হলে আমরা যত সংস্কারের কথা বলি না কেন, তা আইনে রূপান্তরিত হবে না। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালী আইনি রূপান্তর ঘটাতে পারলে জাতির মুক্তি হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যাশা ও ভাবনা কী—সেটি নতুন প্রজন্মকে কেন্দ্র করেই নির্ধারিত হতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে তরুণদের ভাবনা জানতে সভা-সেমিনার করেছি। চব্বিশোত্তর বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষা হলো পরিবর্তন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবক্ষেত্রে মেধা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হবে। সমাজের যে স্তরেই কাজ করি না কেন, আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা ব্যাপক, কারণ তারা তরুণ প্রজন্মকে শেখান।’

সেমিনার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকারের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক শাহ মো. শামীম আহমেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. এস এম সোহাগ আওয়াল।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ধারণা হলো গবেষণাধর্মী ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার প্রতিষ্ঠান। খাতভিত্তিক গবেষণামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে, যাতে রিসার্চের মাধ্যমে আমরা গ্লোবাল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারি। কর্মমুখী ও সময়োপযোগী কারিকুলাম নির্ধারণ জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যার কর্মসংস্থান অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না; বরং আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।’

সেমিনারে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন এবং জাতিসংঘের সাবেক চিফ অব স্টাফ রেহান এ আসাদ।

সারাবাংলা/এফএন/এমপি
বিজ্ঞাপন

ইসিকে বিএনপির ৩৬ প্রস্তাব
২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:২০

আরো

সম্পর্কিত খবর