চাষাঢ়ায় পিস্তুল হাতে কে এই নিয়াজুল?
১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ২৩:২৮ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:২৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে হকার ইস্যুতে সংঘর্ষের সময়ে নিয়াজুল নামের এক ব্যক্তির হাতে পিস্তল দেখা গেছে। দেখা গেছে তিনি পিস্তল উঁচিয়ে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর দিকে তেড়ে আসছেন। উপরের দিকে একবার পিস্তল তাক করতেও দেখা গেছে তাকে। তবে সেখান থেকে গুলি হয়েছে কী না সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পিস্তুল উচাঁনোর কারণে তাকে মারধরেরও শিকার হতে হয়।
কে এই নিয়াজুল। চাষাঢ়ায় তিনি পরিচিত মুখ। যুবলীগ নেতা বলেই তাকে অনেকে চেনেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের সামনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করার পর মেয়র আইভী অনুগামী নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করে ফুটপাতের উপর দিয়ে চাষাঢ়ার দিকে আসতে থাকেন। ফুটপাত হকারদের দখল মুক্ত করাই ছিলো এর লক্ষ্য।
বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আইভীর নেতৃত্বে মিছিল চাষাঢ়া সায়াম প্লাজার সামনে পৌঁছায়। সেখানে কয়েকজন হকারকে ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এছাড়া আইভীর মিছিলটি সেখানে পুলিশও আটকে দেয়। তখন বাধা উপেক্ষা করে মিছিল সামনের দিয়ে অগ্রসর হতে চাইল পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
ঠিক তখনই চাষাঢ়া এলাকার নিয়াজুল সেখানে ঘটনাস্থলে সকলের সামনে প্রকাশ্যে তার পিস্তল বের করে আইভী যেদিকটাতে দাঁড়িয়ে সেদিকে তেড়ে যান। আইভীর সঙ্গে থাকা সমর্থকরা আইভীকে আগলে ধরেন এবং নিয়াজুলকে প্রতিহত করেন। কেবল তাই না, তারা নিয়াজুলকে ঠেলে ধাক্কিয়ে মাটিতে ফেলে লাথি কিল ঘুষিও দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিয়াজুল সেখান থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে শটকে পড়েন।
নিয়াজুল সম্পর্কে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছেন। অনেকেই তাকে শামীম ওসমানের ক্যাডার বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তবে শামীম ওসমান তাকে একজন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন এবং তার হাতের পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত বলে দাবি করেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে শামীম ওসমান বলেন, ‘নিয়াজুল আমার পরিচিত। তিনি বিশাল বড় মার্কেটের মালিক। সে সুইটের ভাই যাকে বিএনপির সময় ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল। এটা কি তার দোষ? তার হাতে পিস্তল দেখা গেলেও পরীক্ষা করা হোক এই পিস্তল থেকে গুলি করা হয়েছে কিনা।’
তবে মেয়র আইভী সরাসরি বলেছেন, নিয়াজুল শামীম ওসমানের লোক। শামীম ওসমানের নির্দেশেই সে পিস্তল নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
সারাবাংলা/এমএম