ফরিদপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মে ২০২৫ ১৮:৫৭ | আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ২০:৩০
ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী নুর আলম ওরফে হুমায়ুনকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর আলম জেলার মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার বাবা কুতুব উদ্দিন মোল্লা গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর মধুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে একটার সময় বাদীর মেয়ে শিলা খাতুনকে (২৬) উপজেলার গোপালদী গ্রামে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। পরের দিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে তারা বিষয়টি জানতে পারি। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোনো লোকজনকে না দেখে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। হুমায়ন ও নিহত শিলা খাতুনের সংসারে তিন বছর ও পাঁচমাস বয়সী দুটি শিশু কন্যা আছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য।
সারাবাংলা/এইচআই