Thursday 08 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘রবীন্দ্রনাথ সর্বমানুষের জাগরণ ও মুক্তির কথা বলেছেন’

সারাবাংলা ডেস্ক
৮ মে ২০২৫ ১৮:৫০ | আপডেট: ৮ মে ২০২৫ ২০:১৩

বাংলা একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ সর্বমানুষের জাগরণ ও মুক্তির কথা বলেছেন। কবির বিশ্বাস ছিল, সাধারণ মানুষ তার আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে বলশালী অন্যায়—অবিচারের মূলোৎপাটন করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৪ টায় বাংলা একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সভাগৃহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভাপ্রধানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৫ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গভঙ্গের রাজনীতি শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক।

বিজ্ঞাপন

সভাপ্রধানের বক্তব্যে অধ্যাপক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘সারাজীবন রবীন্দ্রনাথ যুক্তিবোধ ও মানবমঙ্গলের ভাবনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। জাতিগত সংকীর্ণতা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিকতাবাদের মর্মকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। আজকের দিনেও যার প্রাসঙ্গিকতা অনুভব করা যায়।’

অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ‘বঙ্গবিরোধী আন্দোলন যুক্ত হয়ে এবং কিছুদিনের মধ্যে আন্দোলন থেকে নিজেকে বিযুক্ত করে, রবীন্দ্রনাথ স্বদেশের সংকটের মূলসহ দেশের আত্মাকে চিহ্নিত করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকারের চণ্ডনীতির চেয়ে তার কাছে এদেশের দুই প্রধান সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যেকার বিভেদ ও অনৈক্যই সংকটের মূল বলে প্রতিভাত হয়েছিল। অতঃপর তিনি তাঁর মননশীল ও সৃষ্টিশীল বিভিন্ন রচনায় ও কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিভেদ দূরীকরণের চেষ্টা করেন। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্যের সারার্থকে যদি দেশের মানুষ যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হতো, এবং ঐক্যের পক্ষে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতো, তাহলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিভেদ থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারতাম।’

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ দশকের পর দশক ধরে যেমন বিপুলভাবে পঠিত তেমনি তিনি বহু জরুরি পাঠের বাইরে রয়ে গেছেন এখনো। রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরও যেমন তুমুলভাবে সংবর্ধিত তেমনি তাকে নিয়ে সমালোচনাও কম নয়। সমাজের এই দুই প্রবণতায় রবীন্দ্রনাথের শক্তি ও প্রাসঙ্গিকতা পরিচায়ক।’ তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে বহু বিচিত্র কোণ থেকে আবিষ্কারের সুযোগ আমরা গ্রহণ করতে পারি।’

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী নূরুল হাসনাত জিলান। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অণিমা রায়, মানসী সাধু এবং আশরাফ মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মাহবুবা রহমান। এদিন রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় ড. অসীম দত্ত এবং রবীন্দ্রসংগীতচর্চায় শিল্পী এ এম এম মহীউজজামান চৌধুরী ময়নাকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা—স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসে ফজলুল হক ও মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।

সারাবাংলা/পিটিএম

জন্মশতবার্ষিকী বাংলা একাডেমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর