সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে হামলা চালাতে গিয়ে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অনিল চৌহান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেন। তবে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ ভারত ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান হারিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
শনিবার (৩১ মে) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শাংগ্রি-লা ডায়ালগ’ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কেন এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এবং এরপর আমরা কী করব?”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৌশল বদল করে ৭, ৮ ও ১০ তারিখে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে বিমান ঘাঁটিগুলোতে সুনির্দিষ্ট জায়গায় হামলা চালাই।’
পাকিস্তান পাঁচটি জেট বিমান ও তিনটি রাফায়েল যুদ্ধ বিমান ধ্বংসের কথা দাবির বিষয়ে অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের এই দাবিটি সত্য নয়, আমাদের একটি যুদ্ধ বিমান ধ্বংস হয়েছে মাত্র।
এই সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বলেন, আমরা সতর্ক থাকার পরও চীনের সহায়তা পাকিস্তানের জন্য অব্যাহত ছিল। চীন স্যাটেলাইটের সাহায্যে পাকিস্তানকে সবাত্মক সহায়তা করেছিল বলে দাবিও করেন তিনি।
এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবি করে, ৭ মে রাতে ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার পর ভারত আর তাদের যুদ্ধবিমান ওড়ায়নি।
অন্যদিকে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ব্যাপারে পাকিস্তানের দাবি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ভারতের কর্মকর্তারা। গত ১১ মে ভারতের এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমাদের সকল পাইলট আক্রমন করে ফিরে এসেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ’। তার ভাষ্য ছিল, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ভারত।
এরপর ইসলামাবাদ তাদের কোনো বিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা অস্বীকার করলেও তাদের বিমান ঘাঁটিগুলোয় হামলার কথা স্বীকার করে নেয়।
ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাতে মিসাইল হামলায় পাকিস্তানের ৭০ জন নিহতের দাবি করে ভারত। ভারতের দাবি ১০০ সন্ত্রাসী স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে তারা। পাকিস্তান দাবি করেছে ভারতের ২৬ জন নিহত হয়েছে। তাছাড়া, ভারতের বিমানঘাটি নিশানা করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে বলেও দাবি করে পাকিস্তান।
চার দিনের সংঘাত শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান।