বেনাপোল: যশোরের শার্শায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহতের ঘটনার ৯ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারী সোহেল রানা (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ) সার্কেল নিশাত আল নাহিয়ান।
এর আগে, এদিন ভোর ৫টার সময় উপজেলার জামতলা টেংরা হাইস্কুলের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সোহেল রানা বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের রমজান শেখের ছেলে।
পুলিশ জানায়,বুধবার রাত ১০টার দিকে উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত দক্ষিণ বুজরুজবাগানগামী মাটির রাস্তার উপর থেকে স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সবুজ (২২) নামে এক যুবককে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত রাজু (২২) নামে অপর এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করে।
বিষয়টি লোমহর্ষক ঘটনা হওয়ায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে এবং হত্যাকান্ডের ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে হত্যাকারী সোহেল রানাকে আটক করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত সবুজ,রাজু ও তাদের সঙ্গী কালু ঘটনার দিন রাতে মাঠে কলাবাগান পাহারা দিচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে আসামি সোহেল রানা ও তার সহযোগী আল আমিন ওই পথ দিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিহত সবুজ তাদের গায়ে টর্চলাইট মারে এবং দাঁড়াতে বলে পরিচয় জানতে চায়। তখন তারা জানায় তারা দক্ষিণ বরুজবাগান গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে বাবুর লোক এবং বাবুকে ফোন কল দিতে গেলে সবুজ ফোন কেঁড়ে নেয়।পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে এক পর্যায়ে ঘাতক সোহেল রানা তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে প্রথমে রাজুকে আঘাত করে। পরে সবুজ প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, হত্যাকারীকে আটক করতে পুলিশ মাঠে নামে এবং ঘটনার ৯ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক সোহেল রানাকে আটক করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, আটক আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামি আল আমীনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।