ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদুল আজহার দিনেও চলে ইসরায়েলি হামলা। শুক্রবার (৬ জুন) এর এই হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সাহায্য বিতরণের দায়িত্বে থাকা মার্কিন-সমর্থিত গ্রুপ ঈদের দিনের খাবার বিতরণ করতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, তাদের সব কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিকে, শনিবার (৬ জুন) সকালে দক্ষিণ গাজার রাফাহের কাছে আল-আখাওয়াতে একটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে অপেক্ষমান ছয়জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
শুক্রবার খান ইউনিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসের হাসপাতালে ১৬টি মরদেহ পৌঁছে। উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে আরও ১৬টি, গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ৫টি এবং দেইর আল-বালাহ’র আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতালে আরও পাঁচটি মরদেহ পৌঁছেছে।
ওদিকে, বৃহস্পতিবার আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় আহত একজন সাংবাদিক শুক্রবার মারা গেছেন। এর ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ২২৬এ পৌঁছেছে বলে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।
সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় গাজার সব বাসিন্দা এখন দুর্ভিক্ষের হুমকির মুখে রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মাসে ইসরায়েল গাজায় কিছু সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিলেও তা পরিমাণে অপ্রতুল।
গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গত সপ্তাহে সেখানে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মানুষের নিরাপত্তার জন্য সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ সংগ্রহে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর বোমা ফেলছে। এ কারণে তারা ঈদের দিন খাদ্য বিতরণ করতে পারেনি। সংস্থাটি দ্রুত খাদ্য বিতরণ করতে আগ্রহী। কিন্তু পুনরায় সাহায্যকেন্দ্র খোলার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি। তারা বলেছে, পরবর্তী বিতরণের বিষয়ে বিস্তারিত পরে ঘোষণা করা হবে।