ঢাকা: খুলনা বিভাগের দশ জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এ বছর কোরবানির তিন লাখ ছাব্বিশ হাজার সাতশ চুরানব্বই পিস গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া এক লাখ উনিশ হাজার একশ বারো পিস। ছাগলের চামড়া দুই লাখ সাত হাজার ছয়শ বিরাশি পিস।
সোমবার ( ৯ জুন) খুলনা বিভাগ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
জেলাগুলোর মধ্যে খুলনায় সংগৃহীত চামড়ার সংখ্যা বাইশ হাজার সাতশ বিয়াল্লিশ পিস, যশোরে পঁচাত্তর হাজার একশ পঁচাশি পিস, চুয়াডাঙ্গায় ছয় হাজার বাহাত্তর পিস, বাগেরহাটে তেরো হাজার সাতান্ন পিস, নড়াইলে ত্রিশ হাজার সাতশ পনের পিস, মাগুড়ায় সাত হাজার একশ বায়ান্ন পিস, মেহেরপুরে আঠারো হাজার পঁচাশি পিস, ঝিনাইদহে তিরানব্বই হাজার সাতশ ছত্রিশ পিস, কুষ্টিয়ায় ছত্রিশ হাজার সাতশ সাইত্রিশ পিস ও সাতক্ষীরা জেলায় তেইশ হাজার তিনশ তেরো পিস। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এ সকল চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহকৃত বিনামূল্যের লবন দিয়ে।
উল্লেখ্য, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা,মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবন সরবারহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।