কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার একটি বহুতল ভবনের গ্যারেজ থেকে ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দামি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্যারাডো ব্রান্ডের কালো রংয়ের গাড়িটি এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের এমনটাই দাবি করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ৩টায় মুঠোফোনে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এ সময় মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন আরও বলেন, ‘আমরা গাড়িটি কারো কাছে বিক্রি করিনি। তবে গাড়িটি ওইখানে কেন সেটাও জানি না। আমার বাবা যেভাবে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন তাতে আমাদের গাড়ির কথা মনেই ছিল না। আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ও ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট এখনও পাইনি। কিছুদিন আগেও ভারত থেকে ঘুরে আসলাম। বাবার জানাজাটা পর্যন্ত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। যেহেতু বাবার হঠাৎ করেই এমন দুর্ঘটনা হলো তারপর থেকে আমাদের মাথায় গাড়ির বিষয়টি ছিল না।’
ডরিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করিনি। তবে আমাদের গাড়িটি বুঝিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবো।’
বাড়িটির কেয়ারটেকার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই ভবনের তিনটি ফ্লোর জেনুইন লিফ কোম্পানি নামে একটা সিগারেট কোম্পানি ভাড়া নিয়েছে। তারাই এই গাড়িটি নিয়ে এসেছে। গাড়িটি দেখেতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এই গাড়িটি বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই বাড়ির গ্যারেজে রয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই টোবাকো কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, যার পার্কিং এ গাড়িটি আছে সে যদি মালিকানা উস্থাপন করতে না পারে তাহলে আমারা গাড়ি সিজ করে নিয়ে আসবো এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যতুটুকু জানতে পেরেছি গাড়িতে নৌকার স্টিকার আছে। তবে গাড়িটি সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের কী না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এরআগে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সাফিনা টাওয়ারের পার্কিং জোন থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালো কালারের গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০’। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।