ঢাকা: আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসের প্রাক্কালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারতকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুশইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাটি ভারতকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
এ ছাড়া সংস্থাটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ আহ্বান জানান।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত মাসেই অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে জোর করে মিয়ানমারের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে আসে।
এ ছাড়া পৃথক আরেকটি ঘটনায় কমপক্ষে একশজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও জানায় অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আকার প্যাটেল বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল ভারত। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমুদ্রে ফেলে দেওয়া এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে জোরপূর্বক তাদেরকে বের করে দেওয়ার মতো সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ইতিহাস মনে রাখবে।
সংস্থাটি বলছে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের পর থেকে রোহিঙ্গারা তাদের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা এবং নিপীড়ন সহ্য করছে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা খাদ্য, পর্যাপ্ত আশ্রয় এবং চিকিৎসার মতো প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে তীব্র সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তা কমার ফলে যা আরও তীব্র হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০ জুন শুক্রবার আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালিত হবে ।