বান্দরবান: বান্দরবানের লামা উপজেলায় চাঁদাবাজি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে লামা উপজেলার টঙ্কাবতী পুনর্বাসন এলাকায় আলীকদম সেনা জোনের সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, পিএসসি-এর নির্দেশনায় পরিচালিত এই অভিযানে চারটি গাদা বন্দুক, দুইটি ব্যারেল, তিনটি ছুরি, একটি ইউনিফর্মের নিচের অংশ, দুইটি জোড়া বুট, একটি ট্যাব, দুইটি মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রিক তার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত জব্দ করে আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাতুই চাকমা (৩৫), শান্তি রঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (৪৫), জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮), পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছতিয় ত্রিপুরা (৬০) এবং জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জেএসএস (মূল)-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মঞ্জুর মোর্শেদ (পিএসসি) এলাকার সকল জনগণকে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদেরকে কোনো প্রকার চাঁদা না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চাঁদা চাইলে দ্রুত আলীকদম সেনা জোনকে অবহিত করতে হবে। আলীকদম এবং লামা এলাকায় কোনো প্রকার চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে টঙ্কাবতী, সরই, সুয়ালকসহ বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল এবং একটি স্থানীয় চক্র এর পেছনে জড়িত। এই অভিযানে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।