ঢাকা: বিভিন্ন ক্যাটাগরির পরিশোধিত জ্বালানি তেল, এলএনজি ও গম আমদানিসহ ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ১১ হাজার ৬৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে চলতি পঞ্জিকা বছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য সরকার-টু-সরকার মেয়াদি চুক্তির আওতায় ছয়টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান পিটিটিটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইনোক, চীনের পেট্রোচায়না ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আইওসিএল এই জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এর বাইরে বৈঠকে চলতি জুনের জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন (গ্যাসোলিন ৯৫) আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জেপিন (বিএসপি) এই অকটেন সরবরাহ করবে। প্রতি ব্যারেলের রেফারেন্স প্রাইস ৭৩ দশমিক ৬১ ডলার এবং ব্যারেল প্রতি প্রিমিয়াম ৫.৯৩ ডলার দরে এতে ব্যয় হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে জুলাই মাসের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি (চলতি পঞ্জিকা বছরের ৩২তম) আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’ এ কার্গো সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৬৯ কোটি ২৯ হাজার টাকা।
বৈঠকে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ২৭৫ ডলার দরে এতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বৈঠকে বিএডিসি’র সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় তিনটি দেশ থেকে তিন ক্যাটাগরির মোট ১ লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৩৪২ ডলার দরে ‘কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন’ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা; প্রতি মেট্রিক টন ৭১০ ডলার দরে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ১৩তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ ডলার দরে তিউনিশিয়ার জিসিটি থেকে ২য় লটে ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।