Wednesday 25 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ জুন ২০২৫ ১৯:২৩ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ১৯:৪২

বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ – (ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন ও বহুজাতিক কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য আগামী সপ্তাহে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির যৌথ উদ্যোগে গঠিত এই টাস্কফোর্স ব্যাংকের ওপর নির্ভরতা কমাতে কাজ করবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের চারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি ছাড়া অপর দুটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে- আইডিআরএ ও এফআরসি। এরা পুঁজিবাজারের বড় একটি অংশ।

বুধবার (২৫ জুন) ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, পুঁজিবাজারে সংস্কারে কাজ চলছে। আমরা সংস্কারের মাধ্যেমে ফুটপ্রিন্ট রেখে যেতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা মিউচুয়াল ফান্ড, আইপিও এবং মার্জিন রুলস প্রণয়নের কাজ করছি। আইন প্রণয়নের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারলে, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংস্কার হয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, বিএসইসির কাজ রেগুলেট করা। বাজারের সূচক উঠানো নামানো আমাদের কাজ না। বাজারের উন্নয়নে পলিসি তৈরি করা এবং বাজারে তা কাজ করছে কি না- তা মনিটরিং করা আমাদের কাজ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৫ বছরে কীভাবে আমরা পিছিয়েছি সেটা সবাই জানেন। মাত্র ১০ কোটি টাকার মূলধনের কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে ২৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। আমাদের চেষ্টা ও ইচ্ছার কোনোটারই অভাব নেই। বর্তমানে কোথায় আছি, আগামীতে কী কী করা দরকার, সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ জন্য প্রত্যেকটি বাজার সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করেছি। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের গভর্নেন্স সংক্রান্ত রিপোর্ট এ সপ্তাহে আমরা হাতে পেয়েছি। গভর্নেন্স শক্তিশালী করতে পারলে শেয়ারবাজার আরো শক্তিশালী হবে। আমরা একটা ভগ্ন প্রক্রিয়ার ইকোনোমি থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছি। গত ৯ মাসে আমাদের কান্ডারিরা এই জাহাজ যে ঘুরিয়ে আনতে পেরেছে সেটিই একটি প্রশংসনীয়।

বাজেট প্রসঙ্গে রাশেদ মাকসুদ বলেন, বাজেটে শেয়ারবাজারের অনেক ফোকাস করা হয়েছে। তবে সব কিছু আসেনি।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের স্তম্ভ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আমাদের বাজারে এর প্রভাব খুবই কম। আমরা জানি দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কী অবস্থা? কীভাবে কী হয়েছে, কারা করেছে? তাই আগামী দিনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড রুলসকে কীভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়, টাস্কফোর্সের মতামতের ভিত্তিতে কাজ চলছে। নেগেটিভ ইক্যুইটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্জিন ঋণ থেকে নেগেটিভ ইক্যুইটি তৈরি হয়েছে। এটা পুঁজিবাজারের ক্যান্সার। এটা সমাধানের বিকল্প নেই।

সারাবাংলা/একে/আরএস

পুঁজিবাজার বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ