ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে প্রধান পুঁজিবাজারের সূচক টানা পাঁচদিন বাড়ার পর কিছুটা কমল। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০৫ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। একই সঙ্গে টাকা অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ বিরতি এবং বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের মাধ্যমে কর ছাড়ের সুবিধা নিতে মূলত জুন মাসের পুঁজিবাজারে সক্রিয় হয়ে থাকে, এই দুটো ইস্যুর কারণে গত কয়েকদিনে সূচক বেড়েছিল। আর জুনের শেষ কার্যদিবসে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা কাজ করেছে। ফলে শেয়ারবাজারে সূচকের সামান্য পতন ঘটেছে।
এদিকে ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) দেশের ব্যাংকগুলোতে সব ধরনের গ্রাহক লেনদেন বন্ধ থাকবে। ব্যাংকের হলিডের কারণে শেয়ারবাজারের লেনদেনও স্থগিত থাকবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার (৩০ জুন) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ গত কয়েকদিনে যেভাবে সূচক বেড়েছে সেভাবে দরপতন ঘটেনি।
প্রধান সূচকের মতো ডিএসই’র অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ১০৬০ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ১৮১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সারাদিনে সূচকের ওঠানামার কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কিছুটা কম ছিল। সোমবার ডিএসইতে ৪৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে (রোববার, ২৯ জুন) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯৪ কোটি ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টি কোম্পানির, বিপরীতে ২০৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।