কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ছাত্রদল নেতা অনিক খানের (২০) হামলায় আহত জাসদকর্মী জমির উদ্দিনের (৪৮) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত জমির উদ্দিন একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
অভিযুক্ত ছাত্রদল অনিক খান উপজেলার আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
এদিকে, জমির উদ্দিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়।
স্থানীয় ও নিহত জমির উদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অনিক খান তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে প্রকাশ্যে জমির উদ্দিনের ওপর হামলা চালান। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জমির উদ্দিনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী জোৎস্না খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীর ভাইকে চিকিৎসা করাতে জমির বন্ধক রেখে টাকা আনতে বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় তাকে আটকে অনিক ও তার লোকজন বেধড়ক মারধর করে। দুই বছর আগে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে অনিককে আমার স্বামী থাপ্পড় মেরেছিল। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তাকে হত্যা করেছে অনিক ও তার সহযোগীরা।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার হোসেন ইমাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির মাথায়, বুকে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হামলাকারী পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।