ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পর্যটক ও নেপালের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নেপালের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক টাকাকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি হলে উভয় দেশই সুবিধা পাবে।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। ‘বাংলাদেশ-নেপাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা: নতুন দৃষ্টিভঙ্গি’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও নেপাল ইকোনমিক ফোরাম। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির গবেষক আফরিন মাহবুব, নেপাল ইকোনমিক ফোরামের সিনিয়র ফেলো আমান পান্ত প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘২০২৪ সালে নেপালে ৫০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। আর নেপালের তিন হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন, যাদের বেশির ভাগই মেডিকেল শিক্ষার্থী। নেপালের প্রতিটি হাসপাতালে বাংলাদেশের মেডিকেল গ্রাজুয়েট রয়েছেন। তারাই বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশি টাকাকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের পর্যটক ও নেপালের শিক্ষার্থীরা লাভবান হবেন।’
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপাল বহুপক্ষীয় ফোরামে একযোগে কাজ করছে। এ ছাড়া, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, কানেক্টিভিটিতে সহযোগিতা বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে।’
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বাড়াতে নন ট্যারিফ বাধা দূর করতে হবে। একইসঙ্গে ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি আরও সহজ করতে হবে। নেপাল থেকে এরইমধ্যে ভারতীয় গ্রিড হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এসেছে। সেকারেণে ভারতের সহযোগিতা নিয়েই বিবিএন’র আওতায় নেপালের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ-নেপাল বহুপক্ষীয় ফোরামে বাণিজ্য বাড়াতে একযোগে আরও কাজ করতে পারে। আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়াতে পারে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি) ড. সৈয়দ মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপাল বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে একযোগে কাজ করছে। এসব ফোরামের মধ্যে রয়েছে- সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইএন ইত্যাদি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। এসব সুযোগ অনুসন্ধানে কাজ করতে হবে।’