চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি করোনেশন মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ধূমপান করার সময় ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফা মারামারির প্রেক্ষিতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. নাজিমুদ্দিন সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, বহিষ্কৃত ছাত্রদের মধ্যে দশম শ্রেণির ১৪ জন এবং নবম শ্রেণির ১৩ জন ছাত্র আছেন। এদের মধ্যে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
দশম শ্রেণির পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তির পথে- এ বিবেচনায় তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ ছাত্রকে আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন নবম ও ৮ জন দশম শ্রেণির ছাত্র।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. নাজিমুদ্দিন সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের স্কুলে একজন সাংবাদিক আসেন। উনি দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রের ধূমপান করার ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। সেটা দেখে ওই ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আমি খবর পাবার পর ওই সাংবাদিককে অফিসে ডেকে আনি। ছাত্রদের অভিভাবকদেরও এনে উনাকে জরিমানা নিয়ে দিই।’
‘কিন্তু গত বুধবার (৬ আগস্ট) ওই সাংবাদিক আবার বিষয়টি কোনো এক অনলাইনে প্রকাশ করে দেন। সেটা দেখে নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ করে ওইদিন দশম শ্রেণির ওই ছাত্রদের ওপর হামলা করে। সেদিন আমরা টিচাররা গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিই। কিন্তু গত শনিবার (৯ আগস্ট) দশম শ্রেণির ওই ছাত্ররা আবার তাদের ওপর হামলাকারী নবম শ্রেণির ছাত্রদের ওপর হামলা করে। এতে দু’পক্ষে বেশ কিছুক্ষণ মারামারি হয়।’
প্রধান শিক্ষক জানান, এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মারামারিতে জড়িত ছাত্রদের নাম ও শ্রেণি উল্লেখ করে কমিটি আলাদাভাবে তাদের শাস্তির সুপারিশ করে। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকদের অভিযোগের বিবরণসহ লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।