ঢাকা: এআই-ভিত্তিক টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘এআই অ্যান্ড আই’ নামের একটি কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী এবং টেলকো উদ্ভাবনে অগ্রগামী কোম্পানি গ্রামীণফোন। এই শিল্পে প্রথমবারের মতো নেওয়া এই উদ্যোগটি ভবিষ্যতমুখী ও গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেলিকম খাতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে গ্রামীণফোনের নেতৃত্বের এক অনন্য উদহারণ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্বোধনটি গ্রামীণফোনের বৃহত্তর ‘এআই ফার্স্ট’ যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক—যার লক্ষ্য হলো প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এআই-এর কার্যকরী সমন্বয়, দ্রুত বাস্তবায়ন ও সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। এ কর্মসূচির স্পষ্ট দুটি লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করা এবং কর্মীদের ক্ষমতায়ন। দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল পরিমণ্ডলে টেকসই রূপান্তরে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন; কোম্পানিটির এআই ফার্স্ট লক্ষ্য এরই প্রতিফলন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এআই অ্যান্ড আই অন্য সব কর্মসূচির মতো নয়, এটি একটি অভিযাত্রার সূচনা। আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যৎ শুধু এককভাবে এআই-এর ওপর নির্ভর করছে না, বরং এআই ও ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক কর্মীর কাছে এআই-এর সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। ফলে গ্রাহকদের আরো বুদ্ধিদীপ্ত, সহানুভূতিশীল ও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদানে সক্ষমতা বাড়বে আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামীণফোনে আমরা এআই’কে শুধু একটি প্রযুক্তিগত রূপান্তর হিসেবে দেখি না। এটি মানবসম্পদেরও রূপান্তর। এআই অ্যান্ড আই-এর হাত ধরে গ্রাহকদের জন্য আরো স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করবো আমরা; কারণ আমাদের মানবসম্পদ হয়ে উঠবে আরো স্মার্ট ও গতিশীল এবং নিশ্চিত হবে তাদের ক্ষমতায়ন।
নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবা ও বিপণন- সকল কার্যক্রমে এআই অন্তর্ভুক্ত করছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী আরও স্মার্ট, দ্রুত সেবা প্রদান করছে কোম্পানিটি। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রত্যেক গ্রাহকের প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী অফার প্রদান, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টেলিজেন্ট এইচআর বটের ব্যবহার এবং উন্নত মানের সেবা নিশ্চিত করতে এআই-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন।’
বাংলাদেশে পথিকৃৎ হিসেবে সিসকোর সহযোগিতায় এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রথম এন্টারপ্রাইজ উপযোগী ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে গ্রামীণফোন। এর ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি সকল কর্মীদের জন্য এআই ট্রেনিং নিশ্চিত করছে কোম্পানিটি। কর্মীদের মধ্য থেকে এআই সল্যুশন বের করে আনতে চালু করা হয়েছে ‘জিপি আইডিয়াথন’ যাতে প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায় থেকে উদ্ভাবনের ধারা নিশ্চিত হয়।
অত্যাধুনিক অবকাঠামো, কৌশলগত ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা এবং কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির এই সমন্বয় শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চল জুড়ে ভবিষ্যতের এআই-ভিত্তিক টেলিযোগাযোগে গ্রামীণফোনের নেতৃত্বের সাক্ষ্য বহন করে।