Tuesday 12 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কলিজা খুলে ফেলব’— ডিসি ও শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে বিএনপির সাবেক এমপি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫৬ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৫

বিএনপি নেতা আবদুল গফুর ভূঁইয়া, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

কুমিল্লা: কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা আবদুল গফুর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার এবং কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলমকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাইন বাজার উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এসংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ মে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বড় ভাই ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন (শিশির)–কে ভোলাইন বাজার উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। পরে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান তা প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের কাছে পাঠান।

বিজ্ঞাপন

এর পর পরই সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া ফোনে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানা হুমকি দেন। পরদিন সশরীরে তার সহযোগীদের নিয়ে বোর্ডে গিয়ে চেয়ারম্যানকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও রয়েছে।

অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, উত্তেজিত কণ্ঠে গফুর ভূঁইয়া বলেন, ‘আপনার কত বড় কলিজা হয়েছে আমি দেখে নেব। আপনাকে কে বসিয়েছে, তার কলিজা খুলে ফেলব, আপনার কলিজাও খুলে ফেলব। বেয়াদবিরও একটা সীমা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি এটা সুন্দরভাবে না করলে আপনার ক্ষতি হবে। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না, আইন জানি। কুত্তার বাচ্চা ডিসি, শুয়োরের বাচ্চা।’

ঘটনার পর বোর্ড চেয়ারম্যানের বিশেষ অনুরোধে ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেন।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাবেক এমপির কোনো কথা হয়নি। উনার সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। হয়তো উনাকে গালিগালাজ করেছেন।’

অপরদিকে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘এই লোক (গফুর ভূঁইয়া) প্রশাসনের লোকজনকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হেনস্তা ও হুমকি দেন। তিনি এলাকায় আওয়ামী পুনর্বাসনেরও দায়িত্ব নিয়েছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে আবদুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, ‘এগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’

সারাবাংলা/পিটিএম

ডিসি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হুমকি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর