Tuesday 14 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২০ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৩৭

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সংবাদ সম্মেলন।

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রের স্থান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। তাদের অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্রগুলো হল থেকে অনেক দূরে হওয়ায় নারী শিক্ষার্থীদের ভোটদানে আগ্রহ কমবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, যারা নারী নেতৃত্ব চায় না, তারা প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পরিকল্পিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেন।

বিজ্ঞাপন

সুফিয়া কামাল হলের ভোটকেন্দ্র টিএসসিতে না করে কার্জন হলে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্রে টিচার্স ক্লাবে না দিয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনন্সিটিউট এবং রোকেয়া হল ও শামসুজ্জামান হলের জন্য টিএসসি ও বিকল্প ভোটকেন্দ্রে স্থাপনের দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, টিএসসির মতো ছোট জায়গায় চৌদ্দ হাজারেরও বেশি ভোট কাস্ট করা সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ তিন থেকে চার হাজার ভোট কাস্ট করা সম্ভব। কিন্তু এখানে একটা পরিকল্পনা আছে‌। একদল চাচ্ছে না নারীরা ভোটে অংশগ্ৰহণ করুক। এ সময় তিনি প্রশাসনকে অতি দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান।

ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দলগুলো সবসময় শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ইতিহাসে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি বড় অংশ এসেছে ছাত্রদের মধ্য থেকে। এই নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা দুটি প্রধান কৌশল ব্যবহার করে। প্রথমত, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনগুলো হলে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের চাপে রাখে। দ্বিতীয়ত, হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায়শই ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে।

তিনি বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে এবং আর্থিক সংকটে থাকে। এই পরিস্থিতিতে, পরিকল্পিতভাবে আসন সংকট তৈরি করে ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায়। সাম্প্রতিক আন্দোলনগুলোর একটি মূল কারণ ছিল এই ধরনের ‘দাসত্ব’ থেকে মুক্তি।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর