চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাতবছর আগে চট্টগ্রাম নগরী থেকে ছাত্রদলের এক কর্মীকে গুমের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন তার বড় ভাই। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে মামলাটি দায়ের হয়।
অভিযোগমতে, গুমের শিকার তৌহিদুর রহমান সুমন চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার বাকলিয়া ডিসি রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়।
তার বড় ভাই মাহাবুবুর রহমান এ গুমের ঘটনায় তিনজন জড়িত বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন। এরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই তারেকুর রহমান এবং ‘গুমের শিকার’ তৌহিদুর রহমান সুমনের সঙ্গে একই ব্যাচেলর বাসায় বসবাসকারী জাহাঙ্গীর মুন্সী ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন বলে আরজিতে উল্লেখ আছে।
বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ বদরুল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে তৌহিদুর রহমান সুমনকে ২০১৮ সালের ১৩ জুন অপহরণের পর গুম করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় বোন ফেরদৌসি রহমান চকবাজার থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। পরে তিনি ওই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এরপর থেকে তিনি সিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং থানায় বারবার ধরনা দিয়েও ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাননি। পুলিশ তাকে উদ্ধারের পরিবর্তে ‘জঙ্গি এবং নারীসংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত’ বলে অপবাদ দেয়। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে পরবর্তী সময়ে তিনি ভাইয়ের খোঁজ পেতে আর কিছুই করতে পারেননি।
মামলার আরজির তথ্যমতে, তৌহিদুর রহমান সুমন জীবিত না কি মৃত- সেটা গত সাত বছরেও তার পরিবার জানতে পারেনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর অনুকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।