ঢাকা: ২০১৯ সালের পর ছয় বছরের দীর্ঘ বিরতি। এর মধ্যে গতবছরের জুলাই-আগস্টে দেশে ঘটে গেছে গণ-অভ্যুত্থান। সেই গণ-অভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের এই নতুন আবহে দীর্ঘদিন পর আসছে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এবার ডাকসু ও হল সংসদে বিভিন্ন প্যানেল থেকে ও স্বতন্ত্র পর্যায়ে নির্বাচন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিছু পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এখনো ঘোষণা না করলেও অধিকাংশরই শীর্ষ পদে প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত। এখন অপেক্ষা শুধু মাঠের লড়াইয়ের।
১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিবছর ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়েছে মোট ৩৭ বার। তার মাঝে স্বাধীনতার পর মাত্র আটবার। এবার ৯ম বারের মতো আয়োজিত হতে চলেছে বহুল প্রত্যাশিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন।
গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়। প্রার্থীরা ১২ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) ৬৫৮টি ও হল সংসদ নির্বাচনে ১৪২৭টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামীকাল বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা তিনটা। এর পর যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এবার ছাত্রদলের প্যানেলে তরুণ নেতৃত্ব
ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহের শেষদিন হলেও সাংগঠনিকভাবে চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করেনি ছাত্রদল। তবে ছাত্রদল নেতারা পৃথকভাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। সূত্র অনুযায়ী, ছাত্রদলের তরুণ নেতারা আসতে পারেন শীর্ষ পদগুলোতে। ডাকসু সহসভাপতি (ভিপি) পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান। এছাড়া, মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান, কবি জসিমউদ্দীন হল শাখার আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদসহ অন্যান্য নেতারা। এদের বাইরে বিভিন্ন সম্পাদক ও সদস্য পদে দেখা যেতে পারে ছাত্রদলের হল পর্যায়ের নেতাদের এবং দৃষ্টিজয়ী শিক্ষার্থীসহ বেশকিছু চমক।
‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নামে শিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খান মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম, ছাত্র-পরিবহণ সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসাইন, কমনরুম-রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে শিবির নিজেদের সংগঠনের বাইরে ফাতেমা তাসনিম জুমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদেও রয়েছেন শিবিরের বাইরের বেশ কিছু মুখ। মনোনীত সদস্যরা হলেন- সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, শাহিউর রহমান, সাবিকুন নাহার তামান্না, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন ও আনাস বিন মনির। সাবিকুন নাহার তামান্না ও আফসানা আক্তার ঢাবি ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক।
‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে বাম জোটের প্যানেল
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বাম জোট প্যানেল ঘোষণা করেছে। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল। ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই প্যানেলে রয়েছেন। তবে জাসদ ছাত্রলীগ (বিসিএল) এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের অপর অংশের কেউ এই জোটে নেই।
বামজোট থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক। কমনরুম-রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া পদে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নুজিয়া হাসিন রাশা, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে আকাশ আলী, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লিটন ত্রিপুরা, পরিবহণ সম্পাদক পদে নিনাদ খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাইম উদ্দিন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ফারিয়া মতিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মালিহা তাবাসসুম, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আবু মুজাহিদ আকাশ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে শেখ তাসনুভা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ফাতিহা ইশরাক, গবেষণা ও প্রকাশনা আলমগীর হোসেন।
এছাড়াও, সদস্য পদে মো. তফসিরুল্লাহ, রাজেকুজ্জামান জুয়েল, ওয়াকী রহমান সৌরভ, মোহাম্মদ মোস্তাকিম, মিশকাতুল মাশিয়াত, আতিকা আনজুম অর্থী, পৃথিং মারমা, ইসরাত জাহান ইমু, আনিয়া ফাহমিন, রাহনুমা আহমেদ নিরেট, সাজিদ উল ইসলাম এবং হেমা চাকমা।
প্যানেল ঘোষণা করেনি বাগছাস
ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে লড়বে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। শীর্ষ তিন পদে প্রার্থী ঘোষণা করলেও সম্পাদক ও সদস্য পদে কে কোন পদে নির্বাচন করবেন তা এখনো ঘোষণা হয়নি। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে আব্দুল কাদের, জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার এবং এজিএস পদে আশরেফা খাতুন নির্বাচন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্যানেল
সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি পদে সাবিনা ইয়াসমিন, এজিএস পদে রাকিবুল ইসলাম মনোনয়ন তুলেছেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিব খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান, ছাত্রপরিবহণ সম্পাদক পদে রাশেদ আন আদিব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন গাজী, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন মনোনয়ন পেয়েছেন।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীর ঐক্য’ নামে উমামার স্বতন্ত্র প্যানেল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল হচ্ছে। সোমবার দুপুরে উমামা ফাতেমা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এই স্বতন্ত্র প্যানেলে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে থাকতে পারে অপ্রত্যাশিত কেউ। এ পদে আসতে পারেন অন্য ছাত্রসংগঠন থেকে আসা প্রার্থীও। প্যানেলটি থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন মুক্তিযোদ্ধাসন্তান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা নূমান আহমাদ চৌধুরী। তিনি সারাবাংলাকে জানান, ২০ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হবে।
ইয়াসিন-মারজানের নেতৃত্বে প্যানেল ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি বা ভিপি পদে লড়বেন। আর সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদে লড়বেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে চিফ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। আলাউদ্দিন নিজেও এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি লড়বেন সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে। সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জামালুদ্দীন খালিদ ও মাহিন সরকার প্যানেল
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ ও এনসিপির সদ্যবহিষ্কৃত যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার ভিপি ও জিএস পদে থেকে ডাকসুতে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। তাদের প্যানেলে এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি নির্বাচন করবেন।
ভিপি-জিএস ছাড়াই স্বতন্ত্র প্যানেলে জুবায়ের-মুসাদ্দেকরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ এবি জুবায়ের ও মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদরা আংশিক প্যানেল নিয়ে নির্বাচনের অংশ নেবেন। তাদের প্যানেল রয়েছেন আব্দুর রহমান আল ফাহাদ ও আশিক খানসহ কয়েকজন প্রার্থী। এ প্যানেলে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) বা জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদ রাখা হয়নি। তারা শুধু বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র নেন মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র নেন এবি জুবায়ের।
ডাকসুতে একাই লড়বেন যেসকল প্রার্থী
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ছাড়াও কিছু প্রার্থী একাই লড়বেন বিভিন্ন পদে। গবেষণা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলায় আহত সানজিদা আহমেদ তন্বী। তার সম্মানার্থে এ পদে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেউ মনোনয়ন ফরম কিনবেন না বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের নাতিপুতি..’ বক্তব্যের পর ঢাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিলে সবার আগে হল থেকে মিছিল বের হয়েছিল হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল থেকে। সেই মিছিলের অন্যতম নেতৃত্ব দেন নাজমুল হাসান লাঞ্জু খান। ডাকসু নির্বাচনে তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের পারভেজ মাহমুদ নিলয়। এদিকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন বহুল আলোচিত জুলিয়াস সিজার তালুকদার। অনেকেই তার প্রার্থিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনো সমস্যা দেখছে না নির্বাচন কমিশন।
সরকার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ হৃদয় আহমেদ নির্বাচন করছেন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে। এছাড়াও, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচন করা জালাল আহমেদ এবার নির্বাচন করছেন ভিপি পদে। এদিকে, আলোচিত এক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন রনি এজিএস পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এছাড়াও, অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন বিভিন্ন পদে।