Thursday 21 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাঁশের সাঁকোই ভরসা, দুর্ভোগে নীলফামারীর ১০ গ্রামের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৮

১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসার বাঁশের সাঁকো

নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গুলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবুনচুর শ্যামপুর পাড়ায় ধুব নদীর ওপর সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা বহুদিন ধরে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো। নদীর উত্তর প্রান্তে গ্রামগুলো আর দক্ষিণে নীলফামারী জেলা শহর অবস্থিত।

নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গুলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবুনচুর শ্যামপুর পাড়ায় ধুব নদীর ওপর সেতু না থাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দুটি ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। নদীর উত্তর প্রান্তে গ্রামগুলো এবং দক্ষিণ প্রান্তে নীলফামারী জেলা শহর অবস্থিত।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, বাঁশ ও কাঠের তৈরি অস্থায়ী সাঁকোর ওপর দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকালে সাঁকো ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গুলমুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুফিয়া ও আয়শা বলেন, ‘বর্ষায় স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়তে হয়। একটি স্থায়ী সেতু হলে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারতাম, পড়াশোনার মানও বাড়ত।’

অঞ্চলটির কৃষক, ব্যবসায়ী ও গৃহবধূরা জানান, বর্ষায় সাঁকো ভেসে গেলে কলার ভেলায় পারাপার করতে হয়। এতে কৃষকরা ফসল বাজারে আনতে, ব্যবসায়ীরা মালামাল পরিবহনে এবং সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন। জরুরি প্রয়োজনে প্রসূতি রোগী, চাকরিজীবী কিংবা শিক্ষার্থীদেরও দীর্ঘপথ ঘুরে উপজেলা শহরে যেতে হয়।

জলঢাকা উপজেলা প্রকৌশলী মো. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘ধুব নদীর ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের বিষয়টি ইতোমধ্যে নজরে আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’

সারাবাংলা/এইচআই

ধুব নদী বাঁশের সাঁকো ভাবুনচুর শ্যামপুর সেতুর অভাব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর