Sunday 24 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের প্রশ্নই ওঠে না: ধর্ম উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৯ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৭

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের দেওয়া ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা একথা বলেন। ওয়াকফ হিসাব নিরীক্ষক, চট্টগ্রামের আয়োজনে জেলা ওয়াকফ বিষয়ে সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভার আগে উপদেষ্টা প্রেস ব্রিফিং করেন বলে আঞ্চলিক তথ্য অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি চন্দ্রনাথ পাহাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করা হবে বলে একটি বার্তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নানামুখী প্রতিক্রিয়া শুরু হলে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন বিবৃতিতে দিয়ে এ খবর ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে।

একই প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কোনো ধরনের মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি এবং এ বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সীতাকুণ্ড প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, চন্দ্রনাথ পাহাড় দেশের একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।’

‘সুতরাং এ পাহাড়ে নতুন করে কোনো মসজিদ নির্মাণের প্রশ্নই ওঠে না। ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে বলতে চাই- সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ওয়াকফ সম্পত্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ওয়াকফ সম্পত্তি জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহারের জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে আছে, ওয়াকফ সম্পত্তি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন, ভাড়া ও ইজারা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, অবৈধ দখলমুক্ত করা এবং আয় বৃদ্ধি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মসজিদ-মাদরাসা উন্নয়নসহ সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় নিশ্চিত করা।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিম সমাজের আধ্যাত্মিক, শিক্ষামূলক ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। সারাদেশে প্রায় ২লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ একর ওয়াকফ জায়গা বেদখলে আছে। এগুলো উদ্ধার করে সমাজের ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

চন্দ্রনাথ পাহাড় ধর্ম উপদেষ্টা মসজিদ