ইয়েমেনের রাজধানী সানায় রোববার (২৪ আগস্ট) একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সানার হামলায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ সংলগ্ন একটি সামরিক ঘাঁটি, দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইয়েমেনের হুতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হুমকি তৈরি করেছে। এরই জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’
এদিকে হুতিদের দাবি, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শুক্রবার ইসরায়েলের দিকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
হামলার পরপরই ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ক্লাস্টার ওয়ারহেড ব্যবহার করা হয়েছিল। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত মিসাইল প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক। এসব অস্ত্র মাটির ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় পৌঁছেই বহু ক্ষুদ্র সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয়, যা বিস্ফোরিত হয়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তাণ্ডব চালাতে পারে।
হুতির জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল কাদের আল-মুরতাদা জানান, ইয়েমেনের অধিকাংশ জনবসতিপূর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণে থাকা হুতিরা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো অব্যাহত রাখবে। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল জানুক, আমরা গাজার ভাইদের কখনো একা ফেলে আসব না, এর জন্য যতই ত্যাগ স্বীকার করতে হোক না কেন।’