গ্রিনল্যান্ডে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ডেনমার্ক যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
ডেনিশ কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যুক্ত তিনজন মার্কিন নাগরিক গ্রিনল্যান্ডের সমাজে অনুপ্রবেশ করে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
ড্যানিশ মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তিন ব্যক্তি গ্রিনল্যান্ডের ট্রাম্প-সমর্থকদের একটি তালিকা তৈরি করছেন। একইসঙ্গে যারা ট্রাম্পের বিরোধী তাদেরও তালিকাভুক্ত করছেন। তারা এমন কিছু বিষয় তুলে ধরছেন যা মার্কিন মিডিয়ায় ডেনমার্ককে খারাপভাবে উপস্থাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিনল্যান্ডের শিশুদের জোরপূর্বক অপসারণ এবং নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি, যার জন্য ডেনমার্ক সরকার সম্প্রতি ক্ষমা চেয়েছে।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লক রাসমুসেন এই কর্মকাণ্ডকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য, গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা কীসের মুখোমুখি হচ্ছি।’
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনও এই অভিযোগকে ‘খুবই গুরুতর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ব্যক্তিগত নাগরিকদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে না। একইসঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের জনগণের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকারকে সম্মান করে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গ্রিনল্যান্ডকে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন। এতে করে ডেনমার্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এই ঘটনার জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হয়েছে।