ঢাকা: জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- গণপরিষদ নির্বাচন, সংবিধান সংস্কার সভা, গণভোট আয়োজন, এমনকি অধ্যাদেশ জারি বা রাষ্ট্রপতির ঘোষণার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শও দিয়েছেন কেউ কেউ।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আটটি রাজনৈতিক দলের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। এতে এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এলডিপিসহ অন্যান্য দল অংশ নেয় এবং বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিশন সনদটি চূড়ান্ত করতে চায়। এজন্য ২-৩ দিনের মধ্যে দলগুলোকে খসড়ার কপি পাঠানো হবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা জানান, কেউ কেউ সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার কেউ বলেছেন গণভোটের কথা। তবে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কার কারণে সেটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। আরেকটি প্রস্তাব হলো– রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরের পর কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগের কাছে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মতামত নিতে পারেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “কমিশন জানিয়েছে ২-৩ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সনদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলাপ হয়েছে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে তারা সনদ তৈরির কাজ শেষ করতে চায়। সোমবার আরও ১৭টি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত এই কমিশন মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই দফায় ৩০টিরও বেশি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। সেই সংলাপের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর খসড়া, যেখানে রয়েছে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব ও একটি অঙ্গীকারনামা।