Monday 01 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই: দুদু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:১৪ | আপডেট: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১৭

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

খুলনা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কোনো শক্তিই সেই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। বর্তমানে দেশে ষড়যন্ত্র চলছে এবং বিএনপি ‘বাঘের বাচ্চা’র মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি দাবি করেন, জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং সেই ভোটের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত হবে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা।

বিজ্ঞাপন

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৭ই নভেম্বরে সিপাহি জনতার মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন এবং ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দুদুর মতে, স্বাধীনতার ঘোষণার প্রথম ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমানকে সে সময় “খুঁজে পাওয়া যায়নি” এবং তিনি “তার আগেই কারাবন্দি হওয়ার নামে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।

দুদু বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দলকে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে হবে।

আলোচনা সভায় বিএনপির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহিদ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্থান পান।

তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ে দলের ভাই এবং কর্মী সবাই এগিয়ে আসছে। ১৯৭৫ সালে যখন ক্যান্টনমেন্ট ও বঙ্গভবনে বন্দুকযুদ্ধ এবং ক্ষমতার শূন্যতা শুরু হয়েছিল, তখন সিপাহি বিপ্লবের সন্তান হিসেবে জিয়াউর রহমান এগিয়ে আসেন।

তিনি ১৯৮৩ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন এবং এই স্বৈরাচারের সময়ে তিনি সবার প্রথমে এগিয়ে এসেছিলেন। ১৯৯০ সালে এরশাদের সরকারের বিপক্ষে খালেদা জিয়া তার দল বিএনপি এবং ছাত্রদলের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বলেও তিনি জানান।

২০১৪ সালের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে হেলাল বলেন, যখন বাংলাদেশের দুর্বল করার উদ্দেশ্য ছিল, তখন বেগম খালেদা জিয়া একত্রিত হয়ে সরকার পতনের জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করেন।

তিনি বলেন, সেই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আকাশে যখন দুর্যোগ ঘনিয়ে আসছিল, তখন বাংলাদেশের মানুষ বারবার তার আন্দোলনের প্রয়োজন অনুভব করেছিল, সেই জন্যই জিয়াউর রহমান সবসময় এগিয়ে এসেছেন এবং বাংলাদেশকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন।

তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচন এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে বিভিন্নভাবে অনিচ্ছাকৃত করে তোলা হচ্ছে, কারণ তারা দেশকে স্বাধীন করতে চায় না এবং অন্যদিকে মাননীয় শক্তি দেশে আসতে চায়।

হেলাল জোর দিয়ে বলেন, এই জনসমাবেশ থেকে তারা বলতে চান যে সারা বাংলাদেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, “যেভাবে যুদ্ধ করে এনেছিলাম সেভাবে আমাদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু, খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু, এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু করেন ওলামা দল নেতা মাওলানা ফারুক হোসেন। এছাড়া, জাসাস মহানগর আহ্বায়ক ইঞ্জি. নুরুল ইসলাম বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আতাউর রহমান রনু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট তাছলিমা খাতুন ছন্দা,মহানগর মহিলা দলের সৈয়দা নার্গিস আলী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বেগম রেহেনা ঈসা, এবং গণঅধিকার খুলনা মহানগরীর আহ্বায়ক বেলাল হোসেন বক্তব্য দেন। কেন্দ্রীয় জিয়া ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর আমিরুল ইসলাম কাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএস

ঠেকানো দুদু নির্বাচন ফেব্রুয়ারি

বিজ্ঞাপন

সেনাবাহিনীতে রদবদল
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর