ঢাকা: বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত গঠনের প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ (ডিসিসিআই)।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই আয়োজিত ‘ব্যবসার জন্য বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে সংগঠনের সভাপতি তাসকীন আহমেদ সরকারের উদ্দেশে এ প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। তবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিরোধ ও মামলা জটও বাড়ছে। এর কার্যকর সমাধান না হলে এ সংকট আমাদের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ও অধিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তিতে সম্প্রতি দেওয়ানি কার্যবিধি (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হলেও জটিল বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিধান নেই। একইভাবে, সালিশি আইন ২০০১ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়নি।
তিনি জানান, গত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিপুল পরিমাণ মামলা ঝুলে ছিল। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ২৯১টি, হাইকোর্টে ৯৮ হাজার ৬১৯টি এবং নিম্ন আদালতে প্রায় ৬৪ লাখ মামলা এখনো নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক বিরোধের মূল্য প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার।
এ প্রেক্ষিতে একটি বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত গঠনের প্রস্তাব করে তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত বিচারক দ্বারা গঠিত এ আদালত স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারবে। এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান।