কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৫৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কক্ষে সকাল ১১ টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডে ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে মনোনয়ন করা হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে ফার্মেসি বিভাগের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্স হওয়ায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়। ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড” মেধাবী (স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী), মেধাবী ( স্নাতকের দুই সেমিস্টারের সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী), মেধাবী ও অসচ্ছল ( সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ও অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল) এবং স্পোর্টস এই ৪ ক্যাটাগরিতে এ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। মনোনীত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জন ছেলে এবং ৪৩ জন মেয়ে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘তোমরা চিন্তাটা সীমাবদ্ধ রাখবে না। তোমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে কিংবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হবে এরকম চিন্তাধারা রাখিও না। এটা এক প্রকার গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকা। তোমাদের গণ্ডিটাকে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমরা দেশেও থাকবে এবং বাইরেও থাকবে। প্রথমত, তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতুষ্টিতে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, পথ এখনো বাকি আরো এগিয়ে যেতে হবে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করব তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনীগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চলবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি বক্তব্য শুরু করছি। আমি সবসময় মেধাবীদের কাছে একটু দুর্বল। তোমরা দেশ এবং পৃথিবীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেদেরকে গড়ে তোল। এখন গতানুগতিক ধারার জ্ঞানের তেমন প্রয়োজন পড়ে না কারণ এগুলো এখন চ্যাটবটগুলোই করে ফেলতে পারবে। এখন হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটির যুগ, নিজেদেরকে সৃজনশীলতায় দক্ষ করে গড়ে তোলতে হবে। শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।’