ঢাকা: আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বামপন্থী জোট সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১ অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাহমিদা আলমকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া আলী হুসেনের বিরুদ্ধে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রক্টর অফিস এবং প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আলাদা করে কমিটি দুটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে রোববার ফাহমিদা আলম আদালতে রিট করে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী আলী হুসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাহমিদার বিরুদ্ধে ‘গণধর্ষণের পদযাত্রা হওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং ‘অপরাজেয় একাত্তর অদম্য চব্বিশ’ প্যানেল থেকে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া ও মো. রেজাউল করিম সোহাগ।
অন্যদিকে, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক। তার সঙ্গে আচরণবিধি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসন্ধান কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।