ঢাকা: ২০২৯ সালের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা অর্জনে বাংলাদেশের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে ফ্রান্স। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এবং দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ফ্রান্স একটি মূল অংশীদারের ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এই আশাবাদ তুলে ধরেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে রাষ্ট্রদূত মাসদুপুয়ের প্রচেষ্টার জন্য গভীর প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বাংলাদেশে তার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে বাংলাদেশ সরকার তাকে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত ও গভীর করতে কাজ করবে।’
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আশা প্রকাশ করেন, ফ্রান্স ২০২৯ সালের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা অর্জনে বাংলাদেশের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে। কারণ দেশটি এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিপথ বজায় রাখতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিশেষ করে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পক্ষে ফ্রান্সের দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বৈশ্বিক মনোযোগ হ্রাস পাচ্ছে এবং এই সংকটকে ফোকাসে রাখতে এবং জবাবদিহি ও দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ফ্রান্সের মতো মূল অংশীদারদের আবারও টেকসই সম্পৃক্ততা জরুরি।’