থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকসিন সিনাওয়াত্রা গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। থাইল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ধ্যায় ব্যাংককের ডন মুয়েয়াং বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে তিনি দেশত্যাগ করেন।
থাকসিনের দেশত্যাগের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন তার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। একই দিনে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোটের দিনও নির্ধারিত ছিল।
পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, থাকসিন সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে দেশ ছাড়েন এবং বিমানে ওঠার সময় তার কাছে আদালতের কোনো লিখিত অনুমতি ছিল না। তার গন্তব্য সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থাকসিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তখন তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর তার মেয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং তার মামলার বিচারকার্য স্থগিত করা হয়।
তবে, সম্প্রতি পায়েতংতার্ন প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতেই থাকসিনের মামলার রায় ঘোষণার সময় নির্ধারিত হয়, যার পরেই তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান।
থাকসিন এবং তার পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী। তার পরিবার থেকে ৬ জন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, যার মধ্যে তার মেয়ে পায়েতংতার্নও রয়েছেন। থাকসিন এখনো দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পিউ থাই পার্টিতে ব্যাপক প্রভাব রাখেন। তার এই হঠাৎ দেশত্যাগ থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।