ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক আনুতিন চার্নভিরাকুলকে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে দেশটির সংসদ। গত দুই বছরে এটি থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন, যেখানে ধারাবাহিকভাবে আদালতের রায়ে নেতাদের পদচ্যুত হতে হয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সীমান্ত বিরোধ মোকাবিলায় নৈতিকতার লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে অপসারণ করে।
৫৮ বছর বয়সী আনুতিন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও আলোচক হিসেবে পরিচিত। ২০২২ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি থাইল্যান্ডে গাঁজার আইন শিথিল করার উদ্যোগ নেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে বিমান চালক।
তার দল ভুমজাইথাই মাত্র ৬৯টি আসন পেয়েছে, ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাকে বড় দলের সমর্থনের প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত সংসদের বৃহত্তম দল পিপলস পার্টির সমর্থনেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে শর্তসাপেক্ষে চার মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন আহ্বান এবং সামরিক সরকারের প্রণীত সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশ ছেড়ে দুবাই গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে তিনি জানিয়েছেন, ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরার জন্য দেশে ফিরবেন। তাকসিন ও তার বোন ইয়িংলাক অতীতে যথাক্রমে ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন।