বগুড়া: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “হাসিনা বলতেন আমরা পাকিস্তানপন্থী দল, কিন্তু আমরা বাংলাদেশপন্থী দল। ১৬ বছর গুম, খুন, হামলা-মামলার শিকার হয়েও দেশ ছেড়ে পালাইনি। বরং পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগই ভারতপন্থি দল প্রমাণ করেছে। আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ল্যাবরেটরিতে।”
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বগুড়ায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধান অবদান ছিল তারেক রহমানের। “তিনি দূর থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এর ফলেই স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটে।”
ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী আগে ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন এবং ভিপি পদপ্রার্থীও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশ করায় ফাহমিদা নামের এক প্রার্থী সাইবার বুলিং ও নানা হুমকির শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, “যারা ছাত্রলীগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে, হাত-পা কেটেছে, তারাই এখন ভিন্ন পরিচয়ে ছাত্রশিবিরের নেতা সাজছে। তারা কীভাবে সাধারণ ছাত্রদের ভোট পাবে, আমি জানি না।”
রিজভীর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বাস না করেই তাদের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। অথচ তারাই এখন ধর্মের কথা বলে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। পরিচালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সলাম ও কেএম খায়রুল বাশার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
এছাড়াও বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, মাহফুজ ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. নূর হাবীব ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
এর আগে, চারদিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে করতোয়া নদীতে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন রুহুল কবির রিজভী।