ঢাকা: ‘গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সুস্থ নাই। এখনো পর্যন্ত নুরের শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়নি। নুরুল হক নুরের সর্টটাইম মেমোরি লস হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। নুরুল হক নুরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না নেওয়া হয় সেজন্য একটা মহল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে’—বলে মন্তব্য করেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগান গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘নুর যখন কথা বলতে যাচ্ছেন, তার কথা পুরাপুরি শেষ করতে পারছেন না। আবার অগোছালো কথা বলছেন। তিনি দুই ঘণ্টা আগে ওষুধ খেলেও পরবর্তিতে ভুলে যাচ্ছেন। কথার মধ্যে অনেক সময় ঘুমিয়ে পরছেন। তিনি পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। নিজের শরীরের উপর নিজের ব্যালেন্স নাই। নুরের অবস্থা এখন পর্যন্ত আশঙ্কামুক্ত নয়।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল শাহবাগে আমাদের সংহতি সমাবেশ ছিল। সেখানে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। নুরের ওপর হামলার বিচার দাবি করেছেন। সমাবেশ শেষ করে সবাই কার্যালয়ে চলে যাই। এরপর কে বা কারা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গিয়েছে। এরপর জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছে, এর সঙ্গে নাকি গণঅধিকার পরিষদ জড়িত। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য গণঅধিকার পরিষদ গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিশ্বাস করে।’
রাশেদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির অফিসে যে হামলা হয়েছে এই ঘটনার সাথে গণঅধিকার পরিষদ জড়িত নয়। শাহবাগে আমরা যারা সংহতি সমাবেশ করেছি তাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নাই। সুতরাং ফ্যাসিবাদের দোষর শামীম হায়দার পাটোয়ারী গণঅধিকার পরিষদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি করেছেন। তার এতো বড় স্পর্ধা কি করে হয়? পুলিশের সামনে জাতীয় পার্টির কতিপয় নেতারা মিছিল করছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাচ্ছে। এইটা পুলিশের ভূমিকা হতে পারে না। জাতীয় পার্টি আগামীতে কোর রাজনীতি করতে পারবে না, নির্বাচন করতে পারবে না। এটাই আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য।’