ঢাকা: সর্বোচ্চ সতর্কতা বিচক্ষণতা ও নিরপেক্ষ ভাবে সীমানা পুণঃনির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো আদালতে বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনোয়ারুল জানান, দল নিবন্ধন কাজ প্রায়ই শেষ যা চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হচ্ছে।
এ ছাড়াও, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে শীগ্রই কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে ভোট নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি, ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে ২০২৩ সালের সীমানার তালিকা থেকে ৫০টির মতো আসনে পরিবর্তন আনা হয়। এতে গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে বাগেরহাটে একটি কমানো হয়। এ নিয়ে গাজীপুরে আনন্দ মিছিল হলেও বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায়।
এ বিষয়ে এ প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘সীমানা পুনরায় নির্ধারণে ইসি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এ নিয়ে আদালতে বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের কাজটি কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজটি শেষ করেছে। প্রশাসনিক অখণ্ডতা , ভোগলিক এলাকা, সর্বশেষ আদমশুমারির কথা আইনে বলা হয়েছে। আদমশুমারির রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেছি৷ কিছুটা অসামঞ্জস্য রয়েছে বিতর্ক রয়েছে। গত ১৬ জুনের আপডেট ভোটার সংখ্যার ওপর ৬৪ জেলার ভোটার সংখ্যা, এভারেজ সংখ্যা, টোটাল সংখ্যা পরীক্ষা করে ঠিক করা হয়েছে যে কোথায় খু্ব বেশি, কোথায় খু্ব কম। সেটা বিবেচনায নিয়ে খসড়াটা করি। সেই খড়ার ওপর দাবী-আপত্তি আসলে, শুনানি করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সীমানা নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানিনা। কেননা, আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক বিষয়, স্থানীয় বিষয় থাকে। কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা নিরপেক্ষকতা এবং যৌক্তিক বিবেচনায় নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেছে। সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে কোনো আদালতে কোনো অভিযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’