নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।
গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ কারণে যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক হংসরাজ পাণ্ডে জানান, দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে কোঠেশ্বর এলাকায় ধোঁয়া দেখা দেওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, “বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়নি, আমরা সেটি করবও না।”
তবে চলাচলে সমস্যার কারণে ক্রু সদস্যরা বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে কোনো ফ্লাইট উড্ডয়ন করতে পারছে না। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বুদ্ধ এয়ারসহ দেশীয় বিমান সংস্থাগুলো সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
প্রসঙ্গত, নেপালে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন-জি বিক্ষোভকারীদের সংঘাতের জেরে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করায় ছড়িয়ে পড়া জেন জি আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পানি সরবরাহ মন্ত্রী প্রদীপ ইয়াদাভ। এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক এবং কৃষি ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী পদত্যাগ করেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অনির্দিষ্টকালের এই কারফিউ ভেঙেই রাস্তায় নামেন। এর প্রেক্ষাপটে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।