ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার সঙ্গে জড়িত কৃষক ও জেলেদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। খাদ্য কেবল করপোরেট স্বার্থে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, খাদ্য আমাদের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি উৎপাদকদের সম্মানিত করার পাশাপাশি সংস্কৃতিকে উদযাপন করে, যা ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় Taste Asia Festival Roadshow-এর অংশ হিসেবে ঢাকার গুলশানের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত “Uniting Asia Through Food, Tourism, Trade and Culture” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, খাদ্য শুধু বিনোদনের উপকরণ নয়, এটি ঐতিহ্য ও আঞ্চলিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। আজকের বিশ্বায়নের যুগে ইন্দোনেশীয়, ফিলিপিনো, মালয়েশিয়ান ও চীনা খাবার বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশের খাবারও বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার এবং নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচিতি গড়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এশিয়ার বহুমাত্রিক রান্নাশৈলীর বৈচিত্র্য উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “খাদ্য মানুষের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, সংলাপের ক্ষেত্র তৈরি করে এবং ঐক্য জোরদার করে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কাইনগলেট, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং খ্যাতিমান সেলিব্রিটি শেফ টমি মিয়া এমবিইসহ অনেকে।