বাগেরহাট: বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষিত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ও বুধবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) অর্ধদিবস হরতাল প্রত্যাহার করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর পরিবর্তে জেলা ও জেলার সব উপজেলায় অর্ধদিবস নির্বাচন অফিসের সামনে ওই দুইদিন অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদেরকে কেনাকাটা ও আনন্দ উৎসবে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো কনভেনার ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এম এ সালাম এ ঘোষণা দেন।
এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিসহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই হরতাল প্রত্যাহার করে নতুন কর্মসূচি পালন করব। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আগামী ২ দিন অর্ধদিবস নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গেল ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। সেই অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। এর আগে সীমানা ছিল- বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।